ল্যাপটপ কি | ল্যাপটপ এর সুবিধা

ল্যাপ (Lap) অর্থাৎ কোলের উপর রেখে কাজ করা যায় এমন ছোট আকারের কম্পিউটারকে ল্যাপটপ বলে। ল্যাপটপ কম্পিউটার নোট বুক বা পাওয়ার বুক ইত্যাদি নামেও পরিচিত। এপসম কোম্পানি প্রথম ১৯৮১ সালে ল্যাপটপ কম্পিউটার প্রবর্তন করে।

ল্যাপটপ

ল্যাপটপ চালু করার নিয়ম?

ল্যাপটপ চালু বা অন করার জন্য ল্যাপটপের কীবোর্ডের একদম উপরের বাঁদিকে একটি Power Switch বাটন অথবা Start Button দেখতে পাবেন। 

আর সেই সুইচ টিকে ২ থেকে ৩ সেকেন্ড চেপে ধরে, ছেড়ে দিলেই ল্যাপটপ চালু হয়ে যাবে। তবে কোন কোন ল্যাপটপে পাওয়ার সুইচ বাটনটি ডান দিকেও হয়ে থাকে।

ল্যাপটপ কিভাবে Shut Down অথবা বন্ধ করবেন?

ল্যাপটপ বন্ধ করার জন্য ডেক্সটপ থেকে Start অপশনে ক্লিক করার পর আপনার সামনে Shut Down নামক একটি অপশন এসে যাবে। তবে কিছু কিছু ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটারে Shut Down এর জায়গায় Power Off অপশনটি থাকতে পারে। 

তবে দুটোর কাজ কিন্তু একই। Shut Down অথবা Power Off অপশনে ক্লিক করা মাত্র আপনার ল্যাপটপটি বন্ধ হয়ে যাবে। যদি আপনার এই সকল অপশনগুলো খুঁজতে অসুবিধা হয়। 

তাহলে আপনি Keyboard থেকে ALT এবং F4 এই সুইচ দুটি খুঁজে বের করে। দুটি সুইচকে একসাথে চাপ দিলেই ল্যাপটপ বন্ধ করার অপশন পেয়ে যাবেন।

ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার নিয়ম?

মোবাইল ফোন যেমনভাবে চার্জ দেওয়া হয় তেমনিভাবে ল্যাপটপের চার্জ দেওয়ার হয়। ল্যাপটপ চার্জ দেওয়ার জন্য ল্যাপটপের চার্জার কেবল এর সরু দিকটি, ল্যাপটপের Charging Jack এর মধ্যে প্রবেশ করান। 

এবং অপর প্রান্তটি কারেন্টের বোর্ডের মধ্যে গুঁজে দিন। ল্যাপটপের চার্জিং point অথবা jack টি ল্যাপটপের left side বা বাঁদিকে পেয়ে যাবেন।

ল্যাপটপে ইন্টারনেট চালানোর উপায়?

ল্যাপটপে ইন্টারনেট চালানোর জন্য প্রথমেই দেখে নিন আপনার ল্যাপটপটির মধ্যে কোন ইন্টারনেট সংযোগ আছে কি না। যদি ল্যাপটপটিতে ইন্টারনেট সংযুক্ত করা থাকে। তাহলে Internet Explorer অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করে নিন। 

Internet Explorer হল ইন্টারনেট চালানোর জন্য একটি ওয়েব ব্রাউজার। যা প্রত্যেকটি ল্যাপটপেই ইনস্টল করা থাকে। আর এই ওয়েব ব্রাউজারটি খুলে নিয়ে ওয়েব ব্রাউজারের সার্চ বক্সে কোন কিছু লিখে সার্চ করলেই আপনি ইন্টারনেট চালাতে ও ব্রাউজিং করতে পারবেন।

ল্যাপটপে কোন File কিভাবে খুলবেন?

ল্যাপটপে কোন ফাইল খুলে দেখবার জন্য, ল্যাপটপ অন করার পরেই, ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ স্ক্রিনে My Files অথবা My Computer নামক অপশন দেখতে পাবেন। 

ল্যাপটপের Touchpad অথবা Mouse এর সাহায্যে, My Computer অপশনটিতে Double ক্লিক করলেই, আপনার ল্যাপটপের সমস্ত ফাইল গুলো Show করবে। এবার আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট ফাইলগুলো সহজেই অ্যাক্সেস করতে পারবেন।

ফাইল তৈরির নিয়ম?

ল্যাপটপের নতুন ফোল্ডার তৈরি করবার জন্য My Computer অথবা My PC অপশনটিতে যান। এরপর সেখানে আপনার ল্যাপটপের সমস্ত ড্রাইভ গুলো (C, D, E, F) দেখতে পাবেন।

আপনি যে ড্রাইভের ভেতর Folder টি বানাতে চাইছেন। সেখানে Double ক্লিক করে সেই ড্রাইভের মধ্যে প্রবেশ করুন। এরপর Touchpad অথবা Mouse এর সাহায্যে একবার Right ক্লিক করলেই New অপশন দেখতে পাবেন। 

New অপশনে ক্লিক করে Folder এর নাম দিলেই নতুন Folder তৈরি করতে পারবেন। আর তানাহলে আপনি Ctrl+Shift+N এই তিনটি সুইচকে একসাথে ক্লিক করেও, শর্টকাট পদ্ধতিতে নতুন ফোল্ডার বানাতে পারেন।

ল্যাপটপ Lock কিভাবে করতে হয়?

ল্যাপটপ লক করার জন্য Desktop স্ক্রিন অথবা Serch box এর মাধ্যমে Control Pannel অপশনটি খুঁজে বের করুন। এরপরে Control Pannel অপশন থেকে User Account অপশনে যান। এবং User Account থেকে Manage other account অপশনে প্রবেশ করুন। 

এখানে আপনি create password নামক একটি অপশন দেখতে পাবেন। আর এই অপশনে ক্লিক করে নতুন পাসওয়ার্ড দিয়ে laptop lock করতে পারবেন।

ল্যাপটপে স্ক্রিনশট কিভাবে নিতে হয়?

কোন নির্দিষ্ট জিনিসের স্ক্রীনশট তুলে নেওয়ার জন্য ল্যাপটপে কিভাবে স্ক্রিনশট দেওয়া হয়। এটি আগে আমাদের জেনে রাখা দরকার। 

ল্যাপটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য কীবোর্ড থেকে Windows এবং Print Screen এই অপশন দুটি একসাথে টিপলেই নির্দিষ্ট পেজটির স্ক্রিনশট নেওয়া হয়ে যাবে।

ল্যাপটপ এর সুবিধা?

লোড শেডিংয়ের সময় ডেস্কটপ চালাতে হলে ইউপিএস বা আইপিএস ব্যবহার করা হয় এবং তার ব্যাকআপ দেওয়ার ক্ষমতা ১৫-৩০ মিনিট হয়ে থাকে। কিন্তু ল্যাপটপের সাথে ব্যাটারী সংযুক্ত থাকে। 

সেজন্য বিদ্যুৎ না থাকলে ল্যাপটপকে মডেলভেদে ২ থেকে ৮ ঘণ্টা চালানো যায়। ল্যাপটপ ডেস্কটপ পিসির চেয়ে আকারে অনেক ছোট ও হালকা হয়। এটি ডেস্কটপ পিসির চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যুৎসাশ্রয়ী হয়। 

ল্যাপটপ কম্পিউটার অনেকটা ছোট ব্রিফকেসের মত দেখায়। এটিতে মাউসের পরিবর্তে টাচপ্যাড ব্যবহার করা হয়। এটি সহজে বহনযোগ্য হয়।

ল্যাপটপ এর অসুবিধা?

ডেস্কটপ পিসি এক স্থানে থাকে। এবং তেমন কোন নড়াচড়া করতে হয় না। তাই তার কোন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ল্যাপটপ বহনযোগ্য হয়। তাই হাত থেকে পড়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। 

সাধারণ মানের ল্যাপটপের ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে ডেস্কটপ পিসিগুলোর চেয়ে অনেক কম হয়ে থাকে। তবে ডেস্কটপের সমান ক্ষমতার ল্যাপটপের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে থাকে। 

কাজেই দামের দিক থেকে তুলনা করলে ল্যাপটপের সমকক্ষ ডেস্কটপ পিসির দাম তুলনামূলক অনেক কম। ডেস্কটপের ক্ষেত্রে কোন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে গেলে সহজেই পরিবর্তন করা যায়। 

কিন্তু ল্যাপটপের খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া যেমন কষ্টকর হয়। তেমনি তার দামও তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হয়।